আপনার শিশু হয়তো ছবি আঁকতে অনেক ভালোবাসে। আর সেজন্য আপনি ভাবছেন তাকে ছবি আঁকা শেখাবেন।
কিন্তু ভাবুন তো, আপনি কি চান আপনার সন্তান বড় হয়ে একজন আর্টিস্ট হোক? না। কারণ আপনি জানেন, আমাদের সমাজে একজন আর্টিস্টের জীবন সমৃদ্ধিশালী নয়।
তাহলে কেন দেই শিশুকে ছবি আঁকা শেখানোর জন্য? কারণ আমরা সন্তানের একটা শখ পূরণ করতে চাই। সে একটা কাজ ভালোবাসে, তাকে সেই আনন্দটা দিতে চাই আমরা।
কিন্তু শিশুদের ছবি আঁকাকে Kids Time দেখে ভিন্নভাবে। আমরা দেখি ছবি আঁকা হচ্ছে একটা শিশুর সৃজনশীলতা প্রকাশের একটা মাধ্যমে হিসাবে। প্রতিটি শিশুর সৃজনশীলতা প্রকাশের উপায় আলাদা। আপনার শিশু ছবি আঁকতে ভালোবাসে, কারণ সেটা তার সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম।
কিডস টাইমে আমরা শিশুর সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তাকে গড়ে তুলি ভবিষ্যতের জন্য। তাকে সাহায্য করি একজন ভবিষ্যৎ লিডার হিসাবে গড়ে উঠতে।
এইজন্য তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকা খুব জরুরি। একটা শিশু যদি ভালো ছবি আঁকতে পারে, তাহলে সে চায় তার এই স্কিলের বা দক্ষতার একটা রিকোগনিশন যেন সে পায়। একজন আর্টিস্টের জন্য সবচেয়ে গর্বের বিষয় হচ্ছে তার ছবি নিয়ে একটা প্রদর্শনী করা।
আর সেই সুযোগটাই পেয়েছে কিডস টাইমের শিশুরা। ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত কিডস টাইম গ্রেজুয়েশন প্রোগ্রামের শিশুরা নিজেদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করার সুযোগ পেয়েছে। কিডস টাইম আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীতে শিশুদের আঁকা ছবি দেখতে এসেছে আরও শত শত শিশু ও অভিভাবকরা।
প্রধান অতিথি হিসাবে শিশুদের ছবির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্বনামধন্য আর্টিস্ট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কিডস টাইমের প্রতিষ্ঠাতা তাহমিনা রহমান।
প্রদর্শনীতে শিশুদের আঁকা ছবিগুলো বিক্রির ব্যবস্থাও ছিল। ক্ষুদে আর্টিস্টরা তাদের আঁকা ছবি বিক্রি করে নিজের প্রথম উপার্জনও করেছে। ভিন্নধর্মী এই আয়োজন অভিভাবক ও শিশুদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও সাড়া ফেলেছে।
কিডস টাইমের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়া শিশুরা প্রতি বছর তাদের গ্রেজুয়েশন প্রোগ্রামে নিজেদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করার সুযোগ পাবে।
কিডস টাইমের শিক্ষার্থীরা ড্রয়িং কোর্স শেষ করে তারা নিজেদের লেখা গল্প তৈরি করে এবং সেই বইয়ের ছবি আঁকে। কিডস টাইম সেই গল্পগুলো দিয়ে তৈরি করে শিশুতোষ বই। সেগুলো প্রকাশ করা হয় গুফির প্রকাশনী থেকে। পাশাপাশি দুরন্ত টিভিতে সেই গল্প ও ছবির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় জনপ্রিয় টিভি শো – রঙ বেরঙের গল্প।