
একটা শিশুর বয়স যখন ৫ বছর হয়, এই বয়সের মধ্যে সে ৩-৪ টি ভাষা শেখার ক্ষমতা রাখে। এরপর যত বড় হতে থাকে, তত তার নতুন ভাষা শেখার ক্ষমতা কমে যায়। ১২ বছরের পর থেকে একদম কমে যায়। তাই নতুন ভাষা শেখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে ৪-৮ বছর বয়স। আর আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে যদি বাংলার পরে একটা ভাষা শেখা দরকার সেটা হওয়া উচিত ইংরেজি।
ইংরেজিতে কথা বলা শেখার ৫ উপকারিতা
১। বাড়ে উপার্জন
যারা ইংরেজিতে ভালো কথা বলতে পারে, তারা অন্যদের চেয়ে ৫০% পর্যন্ত বেশি উপার্জন করে। (সুত্রঃ World Economic Forum) যেহেতু নতুন ভাষা শেখার সবচেয়ে উপযোগী বয়স হচ্ছে ৪-৮ বছরের মধ্যে, তাই এই বয়সেই শিশুকে ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে সেটা হবে অভিভাবক হিসাবে আপনার সবচেয়ে ভালো ইনভেস্টমেন্ট।
২। ব্রেইনকে করে শার্প
দ্বিতীয় আরেকটা ভাষা শেখার কারণে শিশুদের অল্প বয়সে ব্রেইন শার্প হয়ে উঠে। সে অন্য বিষয়েও দক্ষতা বাড়াতে পারে। আর অনলাইনে যেহেতু শিশুদের সব ভালো কনটেন্ট ইংরেজিতে, তাই নতুন কিছু শিখতে গিয়েও তার ইংরেজি বোঝার এবং বলার দক্ষতা কাজে আসে।
ইংরেজি ভাষার সাথে ফরাসি, জার্মান ভাষার অক্ষর, উচ্চারণে মিল আছে। তাই পরবর্তিতে অন্য ভাষা শেখার জন্যও ইংরেজি ভালো কাজে আসে।
৩। ভালো স্কুল এবং বিদেশি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কাজে আসে
আপনার শিশুর রেজাল্ট যতই ভালো হোক না কেন, তার ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা ভালো না হলে দেশের ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া কঠিন। আর কলেজের গন্ডি পেরিয়ে যখন অনার্স বা মাস্টার্স করার প্রশ্ন উঠবে, তখন ইংরেজির দক্ষতার অভাবে বাদ পরে অনেক শিক্ষার্থী। হার্ভার্ড, ক্যামব্রিজ বা MIT তে ভর্তির জন্য চাই চোস্ত ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা।
৪। উন্নত দেশে ইমিগ্রেশন
ছাত্রজীবনে বাইরে যেতে না পারলেও পরবর্তীতে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সেটা দেশের থেকে সরাসরি কাজ নিয়েও যাওয়া যায় কিংবা পরিবার নিয়ে সরাসরি মাইগ্রেট করার ব্যাপারে হলেও। আপনার শিশু এখন বিশ্ব নাগরিক হিসাবে জন্ম নিচ্ছে। দেশের গন্ডি পার হয়ে ভাবার সুযোগ তৈরি করতে অল্প বয়স থেকেই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষ করে তুলুন।
৫। নিজের ক্যারিয়ার এবং নিজেকে মেলে ধরতে সাহায্য করে
বড় হয় আপনার সন্তান ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, কোডার, বা লেখক – যাই হোক না কেন, তার ইংরেজির দক্ষতা তাকে দেশের বাইরে সারা পৃথিবীতে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমরা যেমন একটা আন্তর্জাতিক কোডিং কোর্স অফার করছি, কিন্তু সেগুলো ইংরেজিতে। কেবল ইংরেজি বুঝতে না পারার কারণে অনেক অভিভাবক আছে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তার সন্তানকে ভর্তি করতে পারছে না। এভাবেই ইংরেজি না জানার কারণে অনেক দরজা যেমন বন্ধ হয়ে যায়, আবার ইংরেজিতে ভালোমতো কথা বলতে পারার কারণে অনেক দরজা খুলেও যায়।
তাই মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশি একইরকম গুরুত্ব দিন ইংরেজি ভাষা শেখার পেছনে। আর এই শেখাটার বয়স যেহেতু অল্প কিছুদিন, তাই এই বয়সেই সুযোগটা কাজে লাগান।
সন্তানকে যদি ভালো ইংরেজি শেখার কোর্সে ভর্তি করাতে চান, তাহলে Joy School English এর কোর্সে ভর্তি করান। বিস্তারিত দেখুন নিচের লিঙ্কে।
Joy School English Bangladesh
