Why children are getting bored so soon?
আজকাল শিশুরা অল্পতেই কেন এতো bored হয়ে যায়? আগে তো TV, cartoon, smartphone, tab আর হাজার ধরণের খেলনা ছিল না শিশুদের। এখন এতো কিছু থাকার পরও কেন শিশুরা বলে, মা আমি খুব bored, আমার ভালো লাগছেনা বা এখন কি করবো?
একজন পেশাগত Therapist অনেক বছর ধরে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাথে কাজ করার সুবাদে ধীরে ধীরে জানতে পেরেছেন Why children are getting bored? তিনি লক্ষ্য করলেন যে শিশুরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আন্তরিকতার সাথে শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী নয়। আমাদের ব্রেইন খুব সহজেই সব কিছু শিখতে পারে। তবে শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট নির্ভর করে শিশু কোন পরিবেশে বড় হচ্ছে, কিভাবে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমরা আমাদের নিজেদের চিন্তাগুলো শিশুদের উপর চাপিয়ে দেই। ফলে শিশুর বুদ্ধিমত্তাকে এমন পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে তার বুদ্ধিমত্তা দিন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আপনার শিশুকে Kids Time Summer batch এ ভর্তি করতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
শিশুদের এই বিরক্তির কারণ
১। প্রযুক্তি
শিশুরা ভার্চুয়াল জগতে এতটাই মশগুল থাকে যে তাদের মধ্যে খুব সহজেই একঘেয়েমি কিংবা বিরক্তি বোধের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রযুক্তির আশীর্বাদে আজকাল প্রায় প্রতিটি শিশুর হাতে হাতে বিভিন্ন মাধ্যম থাকে। এছাড়া তারা বিভিন্ন রকমের ভিডিও গেমস খেলে যা তাদের ব্রেইনে উদ্দীপনা বাড়ায়। ফলে যখনই তারা উদ্দীপনা কম এমন কিছু করতে যায়, যেমনঃ লেখাপড়া করতে যায় তখন তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই পড়াশোনায় তারা আগ্রহ পায় না, ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিশুদের আগ্রহ থাকে না এবং তারা বিরক্ত হয়।
এমনকি প্রযুক্তির নেশা ক্রমাগত শিশুদের পারিবারিক বন্ধন থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা শিশুদের চিন্তাধারাকে এভাবেই গড়ে তুলছি এবং তারা বাস্তব বিমুখী হয়ে পড়ছে।
২। আত্মনিয়ন্ত্রনের অভাব
শিশুদের আকাঙ্ক্ষা বরাবরই বেশী এবং তারা যা চায় তার সবকয়টিই যে প্রয়োজনীয় জিনিস, এমনটিও নয়। আমরা কেন জানি খুব সহজেই তাদের চাওয়াগুলো পূরণে ব্যস্ত হয়ে যাই। হয়ত আমরা ভাবি যে আমার শিশুর কোনও চাওয়া যেন অপূর্ণ না থাকে। তবে আমরা বুঝিনা যে, সাফল্যের চাবিকাঠি হলো বিলম্বে ভোগ করা অথবা বিলম্বে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়া। আমরা শিশুদের বর্তমান সময়ের জন্য খুশি করলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য করে তুলছি দুর্দশাগ্রস্ত। খুব সহজেই তৃপ্ত হওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পরে তা ছোট মানসিক চাপও মেনে নেয়ার ক্ষমতাকে শেষ করে দেয়, যা ভবিষ্যৎ এ বিশাল এক বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেরীতে চাওয়াগুলো পূরণ হওয়াকে সহজে মেনে নিতে পারার অর্থ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ গ্রহণ করতে পারার ক্ষমতা।
৩। শিশুর অনৈতিক ইচ্ছেকেও প্রাধান্য দেয়া
আমরা আমাদের শিশুর ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেব।তবে সেটা অবশ্যই নৈতিক নাকি অনৈতিক সেটা মাথায় রেখে।শিশুর চাওয়াকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দিলে পরবর্তিতে শিশুরা মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেনা । অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই শিশুরা যা চায় অভিভাবকগণ ঠিক তেমন ভাবেই মন রেখে চলে। ধরা যাক কোন বাচ্চা যদি বলে রান্না করা খাবারটা পছন্দ হয়নি, খাবার বদলে পছন্দসই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।। অর্থাৎ বলা যায়, শিশুরা যা চাচ্ছে ঠিক তাই করা হচ্ছে।
শিশুদের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা অনুসারে চাহিদা পূরণ করার অভ্যাস তাদের মানসিক চাপ নেয়ার ক্ষমতাকে অচল করে দেয়। নিজস্ব মতামতের বিপরীত মেনে নিতে পারেনা বিধায় খুব সহজেই বিরক্তবোধ করে, যার কারণে কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক পরিবেশেও নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেনা। আমরা তাদের কি দরকার তা না শিখিয়ে বরং তাদের ইচ্ছেপূরণে অভ্যস্ত করে তুলছি। যা কিনা শিশুর মানসিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আমরা চারদিকে মনগড়া বিভিন্ন ফান আইটেম দেখি যা শিশুদের সামাজিক ও মানসিক অনুভূতি কমিয়ে দিচ্ছে, করে তুলছে যান্ত্রিক। এর ফলে children are getting bored soon. বাচ্চারা পরিবার, আত্মীয়স্বজন থেকে দূরে থাকছে। এছাড়াও কাজের প্রতি হয়ে উঠছে অনাগ্রহী। তাদের ফাইন মোটর স্কিল বৃদ্ধি হয় এমন কাজ করতে চায় না। অথচ শিশুদের কাছে ভার্চুয়াল ফান আইটেমস নিয়ে সময় কাটানো অধিক প্রিয়। আরেক দিকে যদি তাকাই, আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি। সময় না দিতে পারার কারণে বিকল্প হিসেবে শিশুদের হাতে উঠিয়ে দেই নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি। কিন্তু এই আধুনিক প্রযুক্তির মগ্নতা ঘরের বাইরে খেলার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। ঘরে বসেই পুরোটা সময় কাটানো তাদের সামাজিক যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতা দুটোই ক্রমান্বয়ে হ্রাস করছে এবং ঘরের অভ্যস্ততার কারণে বাইরের পরিবেশের প্রতি তাদের বিরক্তিবোধ তৈরি হয়।
পরিশেষে,শিশুদের বিরক্তি দূর করতে সঠিক শিক্ষা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচর্যা করার নানা উপায় রয়েছে। সেসব উপায়গুলো ঠিকভাবে চালিয়ে গেলে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত করা, তাদের বুদ্ধিমত্তাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো, তাদের কি প্রয়োজনীয় আর কি অপ্রয়োজনীয় তা সম্পর্কে অবগত করা, তাদের চাওয়া মাত্র সব এনে না দেওয়া প্রভৃতি একটি শিশুকে সুন্দরভাবে ভবিষ্যৎ এর দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আর আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ।
শিশুদের বুদ্ধিমত্তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে, শিশুদের creativity বাড়াতে এবং সর্বোপরি মজার মাধ্যমে শেখাতে Kids Time বেশ কিছু কোর্স নিয়ে এসেছে। শিশুদের মধ্যে creativity বাড়ানোর জন্য আমাদের Kids Time সেন্টারগুলোতে নিয়মিত মজার এবং ক্রিয়েটিভ সব কোর্স আমরা অফার করছি। বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে যান – লিঙ্ক। কোর্সগুলো চলছে আমাদের ৪ টি সেন্টারে (উত্তরা, গুলশান, মিরপুর এবং ধানমণ্ডি)। বিস্তারিত জানতে কল করুন এই নাম্বারে – ০১৭৭১৫৮৮৪৯৪