উপহার পাবার সাথে মনে হয় Expectation ব্যাপারটা এমনিতেই জড়িয়ে যায়। সব উপহার কি আমাদের মনের হতো হয়? হয় না আসলে। কিন্তু আমরা কিন্তু ছোট, বড় যাই উপহার পাই খুশি হই। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। মনের মতো না হলে ওরা ধন্যবাদ না দিয়েই অনেক সময় মুখের উপর বলে বসে যে এই উপহার ওর পছন্দ হয়নি।
এই সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি নিজেই উদাহরন তৈরি করতে পারেন। যখন আপনি ওর সাহায্য নিবেন বা ও যখন আপনাকে কোন উপহার দিবে তখন ওকে ধন্যবাদ জানান। ও যখনই কোন উপহার কারও কাছ থেকে নিবে তখনি যেন সেই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানায়। ওর প্রশংসা করতে কখনই ভুলবেন না যখন ও সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। যদি আপনার কোন আত্মীয় ওকে কোন উপহার দেয় এবং ও সেই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানায় তখন তাকে বলুন যে আপনি ওর ব্যবহারে খুবই খুশি হয়েছেন।
আরেকটি ভালো উপায় হল বাচ্চাদেরকে মাত্রাতিরিক্ত উপহার দেয়া থেকে বিরত থাকা। খুব ঘন ঘন উপহার পেতে থাকলে ওরা ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক মনে করবে। ওদেরকে এটা উপলব্ধি করাতে হবে যে উপহার পাওয়া একটি বিশেষ জিনিস। তাই আপনি আপনার বাচ্চাকে যতই আদর করুন না কেন কখনই তাকে অতিরিক্ত উপহার দিয়ে তার কৌতূহল বা উদ্দীপনা নষ্ট করে দিবেন না। যেমন বাচ্চার জন্মদিনে, ডজন ডজন খেলনা কিনে না দিয়ে এক বা দুটা খেলনা কিনে দিন। আমরা এটাও সাজেস্ট করি যে অতিরিক্ত দামী জিনিস বাচ্চাকে উপহার না দেয়া।
বাচ্চাদের কাছে যেটা বেশি মূল্যবান এবং পছন্দের তা হল একসাথে মা বাবার সাথে সময় কাটানো।
অনেক সময়ই দেখা যায় বাচ্চারা দাদা-দাদি, নানা-নানি বা অন্য বয়স্ক মানুষের কাছ থেকে উপহার হিসেবে টাকা পায়। ও চাইলে ওর এই টাকা দিয়ে নিজের পছন্দের খেলনা কিনতে পারে। এতে করে ও দায়িত্ববোধ শিখবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাচ্চারা যদি বুঝতে পারে যে ও নিজের টাকা খরচ করছে তাহলে খুবই ভেবে চিনতে খরচ করতে চায়। এতে ওর মধ্যে মিতব্যয়ী মনোভাব গড়ে উঠে। আপনি আরও যা করতে পারেন, ওদের টাকার কিছু অংশ ওরা যেন গরিব মানুষদের দান করে দেয় সে ব্যপারে ওদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। ওদের মধ্যে যদি দানশীলতার মনোভাব চলে আসে তাহলে ও বুঝবে যে ও কতো ভাগ্যবান এবং ওর কাছে এমন সব জিনিষ আছে, যা অনেক মানুষ চাইলেও পায় না।