আপনার শিশুর Speech Delay যেন না হয় তার জন্য আপনি যে কাজগুলো নিয়মিত করবেন
১। প্রচুর কথা বলুন
মনে রাখবেন আপনাকে অনেক অনেক কথা বলতে হবে। সবকিছু নিয়ে কথা বলুন ।আপনি হয়তো ভাবছেন এতো কথা কি নিয়ে বলবো? অনেককিছু নিয়েই আপনি কথা বলতে পারেন।
যেমন ধরুন- কি খাও? এটার নাম তরমুজ। তুমি জানো তরমুজ তোমার আম্মুর পছন্দ, বাবার পছন্দ, দাদার পছন্দ, দাদীর পছন্দ। তুমি দেখেছো তরমুজটার কি সুন্দর রং? এটাকে লাল রং বলে। এমন করে তার সাথে কথা চালিয়ে যান।
২। নিয়মিত গল্পের বই পড়ুন
প্রতিদিন অন্তত ঘুমানোর আগে একটি করে গল্পের বই শিশুকে পড়ে শোনান Speech Delay দূর করতে। আমাদের দেশে এখন শিশুদের জন্য অনেক ভালো গল্পের বই পাওয়া যায়। গল্পের বইয়ের তালিকা পেতে ক্লিক করুন এ লিংকে ।
ছোট শিশুদের সাথে বই পড়ার আলাদা নিয়ম আছে। বই পড়ার প্রতি তার আগ্রহ জাগানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই সে নিয়ম মেনে চলতে হবে। শিশুর সাথে বই পড়ার নিয়মগুলো জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে ।
৩। Screen Time কমিয়ে আনুন
টেকনোলজির এ যুগে স্ক্রিন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা আসলেই কঠিন। কিন্তু যদি আপনার শিশুর অলরেডি Speech Delay হয়ে থাকে তবে আপনি হয়তো জেনেছেন এ স্ক্রিন ঠিক কতটা ক্ষতি করছে আপনার সন্তানের। তাই যতই কষ্ট আপনার হোকনা কেন স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনতে হবে। বয়স অনুযায়ী ঠিক কতক্ষন আপনি তাকে স্ক্রিন এর সামনে দিতে পারবেন তা নিচের দেয়া তালিকা থেকে মিলিয়ে নিন।
৪। শিশুর সাথে নিয়ম করে খেলুন
আপনার মনে হতে পারে বাচ্চাকাচ্চা তো দেখি সারাদিনই খেলে। হ্যাঁ সত্যিই তাই। শিশুর বিকাশের জন্য খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং খেলার মাধ্যমেই আপনি তার স্ক্রিন ডিপেন্ডেন্সি কমিয়ে আনতে পারেন, Speech Delay প্রতিরোধ করতে পারনে, ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে পারেন, যে কোনো ভালো অভ্যাস তৈরির মাধ্যম হল খেলা। আপনাকেও সন্তানের খেলার সঙ্গী হতে হবে।
৫। Speech Delay দূর করতে প্রোফেশনাল স্পিচ থেরাপির সাহায্য নিন
Speech Delay হওয়া বা দেরিতে কথা বলা অনেক সিরিয়াস একটা সমস্যা। আপনি হয়তো ভাবছেন স্কুলে দিলে ঠিক হয়ে যাবে বা বাচ্চাদের সাথে মিশলে ঠিক হয়ে যাবে। হ্যাঁ হয়তো কথা বলা সে শিখে যাবে কিন্তু এই ১-২ বছরের কথা না বলার কারণে পরবর্তীতে তার ডেভমেন্টাল ডিলে এবং আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে।
তাই অবশ্যই প্রফেশনালদের সাহায্য নিন।